জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ লাখ ৭১ হাজার ৪৬০ জন।
এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৫৭ লাখ ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭৭ লাখ ১৭ হাজার ৬৩৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৩৬৬ জনে। সুস্থ হয়েছেন ৩০ লাখ ৬২ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৯ লাখ ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন এক লাখ ৭ হাজার ৪১৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫৯ লাখ ৮৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ লাখ ৫৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। মারা গেছেন এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৫ লাখ ২ হাজারেরও বেশি রোগী।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫০০ জনে।
এছাড়া, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২০৩ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শনিবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ৬৭৩টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১০ হাজার ৮৫৯টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২০ লাখ ৬১ হাজার ৫২৮টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১.০৮ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮.২৯ শতাংশ।
নতুন যে ২৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন এবং নারী আটজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ২৩৭ জন বা ৭৭.০৪ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ২৬৩ জন বা ২২.৯৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
এদিকে, আরও ১ হাজার ৪৫৩ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৭.২৭ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।